বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছোট বড় প্রায় ৪৫টি গাছ বিক্রি’র নিলামে চরম অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত গাছ গুলোর বাজার মুল্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল হলেও লীজ দেয়া হয় মাত্র ২ লাখ ১০হাজার ৯শত টাকায়। এ ঘটনার খবরে নবীগঞ্জের সর্বত্র তোলপাড় চলছে।
সুত্রে জানাযায়, সম্প্রতি নবীগঞ্জ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মালিকানাধীন সরকারী ছোট বড় প্রায় ৪৫টি গাছ (বাউন্ডারীর ভিতরে) নিলামে বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। নির্ধারিত ৮ই অক্টোবর তারিখে নিলামে ১৮২ জন ব্যবসায়ী অংশ গ্রহন করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রভাব কাটিয়ে তাদের লোক সোহাগ মিয়া নামে যুবককে নিলামের মাধ্যমে গাছ দেয়ার জন্য শক্তি প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে নিলামে অংশ গ্রহনকারীদের নিয়ে সমঝোতার বৈঠক করেন স্থানীয় কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী। তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে রফা করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ৪৫টি গাছের বাজার মুল্য কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৯শত টাকায়। এ ব্যাপারে নিলামে অংশ গ্রহনকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, নিলামে অংশ নেয়ার কারনে ওই প্রভাবশালী বিভিন্নভাবে তাকে চাপ ও হুমকী প্রদান করেন। অপর একজন বলেন, কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী ১৮২ জন নিলামে অংশ নিলেও ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করেন। ফলে নিলাম ডাকে কেউ অংশ গ্রহন করেনি। এ ব্যাপারে সোহেল মিয়া নামে নিলামে অংশ গ্রহনকারী ব্যবসায়ী বলেন, নিলামে দেয়া ৪৫টি গাছের বাজার মুল্য কমপক্ষে ১৫/১৬ লাখ হবে।
এদিকে, এত বড় সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার গাছ ২ লাখ ১০ হাজার ৯শত টাকায় ইজারা গ্রহিতা সোহাগ মিয়া’কে নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। তার পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়েও রহস্য ঘণিভুত হচ্ছে। উক্ত সিন্ডিকেটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কাউন্সিলর জায়েদ চৌধুরী, বাহুবলের ব্যবসায়ী রুহুল আমীন ও নবীগঞ্জের অপর আরো ব্যবসায়ী জড়িত বলে অভিযোগও রয়েছে। অভিজ্ঞমহলগণ বলেন, যেখানে গাছের বাজার মুল্য ১৫ লাখ সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২ লাখ ১০ হাজার ৯শত টাকায় নিলামে বিক্রি করার রহস্য কি? যদি নিলামে অংশ গ্রহনকারী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কম মুল্যে কিনেন এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বাতিল করে নতুন করে নিলামের ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারতেন। এছাড়া নিলাম বিজ্ঞপ্তিতে ৪৫টি গাছের সরকারী মুল্য নির্ধারন করা হয়নি। যা শুভংকরের ফাকিঁর মতো এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অপর দিকে নিলামের ইজারাদার নিলামের বাহিরে (বাউন্ডারীর বাহিরের) ৫টি গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। যার বাজার মুল্য হবে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা হবে। এলাকাবাসী উক্ত বিষয়ে দুদকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষক। করছেন।।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics