আল আমিন সরদার স্টাফ রিপোর্টার
এক সময়ের খলিষখালীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফফর ক্ষমতার লোভে বেপরয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হারার পরে সে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন,মোজাফ্ফর চেয়ারম্যান থাকার সময়ে সে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সরকারী ঘরের টাকা, বিধবা ভাতার কার্ডের টাকা, কর্মসুচির টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই টাকা মেরে নিয়ে এখন সে সাতক্ষীরা খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কিনেছে। একসময় তার বাবা লোকের জমিতে নাঙল চাষ করত এখন সে কোটিপতি এর রহস্য কি তা জানা যায়নি।
গনেশপুর গ্রামের আহমদ বলেন, মোজাফ্ফর আমার জমির সমস্যা ঠিক করবে বলে আমার কাছ থেকে সাত হাজার টাকা নিয়েছে। এখন সেই টাকা ফেরত না দিয়ে বলে কিসের টাকা।
খলিষখালী গ্রামের আশিশ পাল বলে, মোজাফ্ফর যখন খলিষখালী চেয়ারম্যান ছিল তখন সে আমার পানের বরজ ভেঙে দিয়েছিল। আমি বার বার তার কাছে গিয়েছিলাম সে আমার কোন কথা শোনেনি। আমি এখন পথের ফকির সমিতির কিস্তিও দিতে পারিনা। আমি এখন মোজাফ্ফরের বিচার চাই।
গুচ্ছ গ্রামের হায়দার জানায়, মোজাফ্ফর চেয়ারম্যান আমার কাছ থেকে ঘর দেবে বলে ১০হাজার টাকা নেয়। তারপর লোকজনকে জানালে আমারে সাত হাজার টাকা ফেরত দেয়।আমি তার কাছে এখনও তিন হাজার টাকা পাই।
খলিষখালির নিতাই বলেন,মোজাফ্ফর গালস স্কুলের ভোটের সময় আমার বাড়িতে বি এন পির জামাতের লোকজন নিয়ে হুমকি দেয়। আমি তারপরে বিষয়টা সাংবদিকদের জানাই এখন আমার নিরাপর্তা কে দিবে সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।
নাম না জানানোর শর্তে এক আওয়মালীগ নেতা বলে, মোজাফ্ফর চেয়ারম্যান
হওয়ার পরে এলাকার জিনপাটি নামে এক সন্ত্রাসী বাহিনি তৈরি করে। তারা প্রতিদিন হিন্দু এলাকার লোকজনকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিত। এই টাকার এক ভাগ যেত মোজাফ্ফরের পকেটে। বর্তমানে সে এলাকার বিএনপি জামাতের লোকজন নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যাকালাপ করে বেড়াচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তার নামে মামলা সহ পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। তার ভয়ে গোটা খলিষখালীর মানুষ আজ আতঙ্কিত। আরু বলেন, মোজাফ্ফরে ভাই মনি সারাদিন এলাকায় সরকারী ঘরের টাকা চালের কার্ডের নামে চাঁদবাজি করে বেড়াই। এছাড়া প্রতিদিন কাশিয়াঙাঙ্গার ভগাবানে পাড়ায় এক বিধুবা মহিলার কাছে লম্পটি করতে যায়।
মোজাফ্ফরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশ প্রসানের দৃস্টি কামনা করেছে। এ ঘটনায়
মোজাফ্ফের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে মামলার ভয় দেখান।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics