Daily Frontier News
Daily Frontier News

ডুমুরিয়ায় কলেজ শিক্ষক কর্তৃক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ।

 

 

মোঃ শহিদুল ইসলাম / বিশেষ প্রতিনিধি।

 

ডুমুরিয়ার কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা হয়েছে বলে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । গত বুধবার (১০ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাতক্ষীরার কুমিরা এলাকার বাসিন্দা পাপিয়া সুলতানা পপি (২২) স্বামী, দুই শিশু কন্যা সন্তান নিয়ে কাঞ্চনপুর গ্রামের রুহোল আমিন কবিরাজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, ভাড়া বাড়িতে দুই শিশু কন্যাকে নিয়ে গৃহবধূ পাপিয়া সুলতানা (পপি) খাটে শুয়ে ছিলো। এসময় আঠারমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট কলেজের জেনারেল শাখার প্রভাষক মোঃ আলাউদ্দিন মাহমুদ (৪২) কৌশলে ঘরে প্রবেশকরে জোর পূর্বক গৃহবধু পপিকে ধর্ষণ করতে থাকে। এসময় ভিকটিমের ডাক চিৎকারে বাজার থেকে বাড়ি অভিমুখে আসা স্বামী ও স্থানীয় লোকজন তাকে জাপটে ধরে। এক পর্যায়ে ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্হানীয় পুলিশ ধর্ষক আলাউদ্দীন কে তার বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মুনছুর আলী, মাগুরঘোনার রফিকুল ইসলাম, ধর্ষকের ভাই সাকি মাহমুদ, শাহিন মোড়লসহ একাধিক ব্যাক্তি। এরপর বৃহস্পতিবার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাগুরঘোনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোঃ হাবিবুল্লার উপস্থিতে দেন দরবারের মাধ্যমে মিমাংশা করেছেন কতিপয় ব্যাক্তিগণ। এব্যাপারে আলাউদ্দিনের ব্যাবহৃত ০১৯৩৯- ৩৩৩৮৪১ নাম্বর মুঠো ফোনে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা শিকার করেছেন। তিনি বলেন ভিকটিমের দরুণ দরবার কারীদের সঙ্গে সর্বমোট ৮০ হাজার টাকায় মিমাংশা করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বামী তজিবর রহমান শেখ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ইউপি সদস্য মুনছুর আলী, রফিকুল ইসলাম, আলাউদ্দিনেরন ভাই সাকি মাহমুদ,শাহিন মোড়লসহ তারা ধর্ষকের নিকট থেকে ৮৫হাজার টাকা নিয়েছে। আমাদেরকে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংশা পত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রভাষক আলাউদ্দিন মাহমুদ বিগত দিনেও এহেন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারি সত্যতা রয়েছে । একই অপরাধে পূর্বেও একবার কলেজ থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে কতৃপক্ষ তাকে প্রথমিক ভাবে ক্ষমা করে পূনরায় চাকুরীতে বহাল রাখা হয়েছিল। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসী ফুসে উঠেছে । তারা অভিযোগ করে বলেন, এহেনো কাজ করার পরেও যারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিমাংশা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাগুরঘোনা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন,ধর্ষণ হয়েছে ঘটনাটি মোখিক ভাবে শুনেছি। এমনকি ধর্ষককে আটকও করেছিলাম। কিন্তু বাদী বিবাদী আপোষ মিমাংশা করায় আলাউদ্দিন মাহমুদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা তবে বাদীর অভিযোগ পেলে মামলা নিবো।

Daily Frontier News