কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অসহায় পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে দুই নারীকে আহত ও মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী তাছলিমা আক্তার লিপি বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ মামুন, আবু, হাছিনা বেগম, আবু কালাম, কাশেম, হানিফ, জুয়েল, মোস্তফা, আশরাফ, ফজলুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে বাদি মোসাঃ তাছলিমা আক্তার লিপি উল্লেখ করেন, তিনি একজন গৃহীনি। বিবাদী মামুন, হাছিনা বেগম, আবুল কালাম, কাশেম, হানিফ, জুয়েল, মোস্তফা, আশরাফ, ফজলুর রহমান পাশের বাড়ির বাসিন্দা। পূর্ব হতে তাদের সাথে তাছলিমার জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত মার্চ মাসে বিবাদীরা তাছলিমার বৃদ্ধা মা মোসাঃ মাফিয়া বেগমকে মারাত্মকভাবে জখম করে। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে তারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অজুহাত তুলে অসহায় তাছলিমার পরিবারের উপর অন্যায়-অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। এরইমধ্যে গত রোববার সকালে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনধিকার প্রবেশ করে অকথ্য ও অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ শুরু করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করলে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীরা ধারলো লোহার রড়, এসএস পাইপ, দ্যা, হকিস্টিক ও লাঠি-সোঠা নিয়ে তাছলিমার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলাকারীরা ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়াসহ ভাংচুর চালিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। হামলায় তাছলিমা আক্তার লিপি ও ফাহিমা আক্তার নামে দুই নারী আহত হন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় দুইদিন পর আবারও তাছলিমার পরিবারের উপর হামলা করে মামুন গং। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে বারবার হামলা করায় সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী তাছলিমা আক্তার লিপিসহ পরিবারের নারী সদস্যরা।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের মামুনের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে করলে তিনি বলেন, আমি বলতে পারি না কি হইছে। আপনি এলাকায় এসে সমাজপতিদের জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন কি হয়েছে।
Copyright © 2023 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics