প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী:মোঃ রাকিব বিশ্বাস
মিথিলার পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, ঈশ্বরদী পুর্ব টেংরি আমবাগান এলাকার মিথিলা নামক (১৭) মেয়ের এ্যপিন্ডিসাইড অপারেশন করার জন্য ডাক্তার আসমা খানের কাছে যায় পরামর্শ নেয়ার জন্য। সেখানে আসমা খান তার নিজ প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করার পরামর্শ দেয় । সেই মোতাবেক ভর্তির পর তাকে অপারেশন করা হয়।
এদিকে অপারেশন হওয়ার তিন দিনের মাথায় মিথিলার সেলাই করা স্হান দিয়ে মল বের হতে থাকে। মিথিলার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে তাকে পূনরায় রাজশাহী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তার আগের অপারেশন ভুল হয়েছে বলে তার পরিবার কে বলা হয়। পূনরায় মিথিলার অপারেশন করতে হবে জানান ডাক্তার।
এমতাবস্থায় কি করবে মিথিলা তার বাবা বেঁচে নাই। অর্থ দরকার।কে দিবে এই অর্থ বিষয়টি নিয়ে জটিলতা ধারন করে।
একপর্যায়ে মিথিলার চাচা কে ঘটনা খুলে বললে তার চাচা ডাক্তার আসমা খানের কাছে যায়। তার এমন ভুল অপারেশনে কথা জানান। এতে আসমা খান পুনরায় রাজশাহী মেডিকেল এ অপারেশন করার খরচ দিবে বলে মিথিলার পরিবার কে আশ্বাস দেয়।
এদিকে মিথিলার রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তির প্রায় গত ২২ দিন অতিবাহিত হলেও ডাক্তার আসমা খান আর্থিকভাবে কোন সহযোগিতা করেন নাই বলে মিথিলার পরিবার সুত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ডাক্তার আসমা খানের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বলেন আমি কোন অপারেশন করি নাই। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন আমি শুধু হাত দিয়ে দুটি সংযুক্ত নাড়ী ছাড়িয়ে দিয়েছি। তবে মিথিলা বর্তমান রাজশাহীতে আছে। আমি এবং আমার এক আত্মীয় সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি। রোগীর অবস্থা এখন ভালোর দিকে।
ডাক্তার আসমা খানের স্বামী ডাক্তার রনির সাথে কথা বললে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন এই মিথিলার অপারেশন করেছেন ডাক্তার আসমা খান এবং অঙ্গানের ডাক্তার শিশির। তবে শিশিরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। সেখানে ছিলেন ডাক্তার আব্দুল্লা আল মাহমুদ।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics