ঈশ্বরদী আকলিমা সেবা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রসূতি বাচ্চা উদ্ধার করলেন পুলিশ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী আকলিমা সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্রসূতি মায়ের বাচ্চা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড। অবশেষে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সহায়তায় বাচ্চা উদ্ধার হয় ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় বুধবার(৫ ই অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে পুরাতন ঈশ্বরদী ভাদুর বটতলা থেকে মোঃ শাহানুর তার স্ত্রী মোছাঃ বিলকিস বেগম ( ৩৫) কে ঈশ্বরদী আকলিমা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি করার কথা বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এসময় বিলকিস প্রসাব ব্যাথায় ছটফট করতে থাকে। একপর্যায়ে বিলকিস কে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার রাবেয়া বসরী বাচ্চা টি প্রসাব করান। বাচ্চার কোন শারা শব্দ না পেয়ে বিলকিস বেগম এর স্বামী ভীতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বা তার নিকটতম কোন লোকজন কে বাচ্চা দেখতে দেয়া যাবেনা বলে বাধা ও আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

একপর্যায়ে দিশে হারা হয়ে পড়ে বিলকিস বেগমের স্বামী মোঃ শাহানুর। পরে থানা পুলিশ কে রাত ৩ টায় ঘটনা টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ভাবে ঈশ্বরদী থানা ও আমবাগান ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল আকলিমা ক্লিনিকে যেয়ে প্রসুতি বাচ্চা টি উদ্ধার করে। বাচ্চার অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার কয়েক ঘণ্টা পর বাচচাটি মারা যায় বলে শাহানুর খবরটি নিশ্চিত করে।

এদিকে এই ঘটনার বিষয়ে সকালে ঈশ্বরদী আকলিমা ক্লিনিকের ম্যানেজার নুরুল ইসলামের সাথে কথা বলে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। এমন রোগী আমাদের ক্লিনিকে আসে নাই। অপর এক প্রশ্ন করা হয় তাহলে পুলিশ কেন রাত ৩টায় আসছিল ক্লিনিকে। এসময় ম্যানেজার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এই প্রতিবেদকের উপর । তিনি আরো বলেন এসব বিষয় কেন খবর প্রকাশ করবেন ।
অপরদিকে এই ঘটনার বিষয়ে আকলিমা সেবা ক্লিনিক এ্যন্ড ডায়গনিস্টিক সেন্টার পরিচালক ডাক্তার হোসনে আরা মুকুল এর সাথে কথা বলতে চাইলে ম্যানেজার নুরুল ইসলাম আরো ক্ষীপ্ত হয়ে তিনি বলেন পরিচালক আমরাই এখন। মালিক ঢাকাতে আছে। #