বিশেষ প্রতিনিধি।।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন পুরাতন বাজার নিজ বাড়ি হতে গত,২৪-০৯ ২০২২ তারিখে সকাল ১১টার সময় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় চাউল ব্যবসায়ী নজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ধারণা করা হয় গত ২৩/৯/২০১২২ তারিখে রাতে যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা নজরুদ্দীনকে শ্বাসরোধ ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে ।
পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা যায় গত ২৩.০৯.২০২২ খ্রিঃ সকালে সাহাবুল হক বালু ক্রয়ের জন্য নজির উদ্দিন এর নিকট প্রস্তাব প্রদান করে। পরবর্তীতে একই তারিখ রাত অনুমান ০৮:৪০ ঘটিকায় আসামী শাহাবুল, রাজীব ও বিদ্যুৎ পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিম নজির উদ্দিন এর বাড়ীর সামনে উপস্থিত হয়ে ডাকতে থাকে। ভিকটিম নজির উদ্দিন আসামীদের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ীর মেইনগেট খুলে দিলে উল্লেখিত আসামীরা বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। ভিকটিম নজির উদ্দিন ও তাঁর স্ত্রীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা পাবার আশায় আক্রমণ করলে ভিকটিমদ্বয় প্রতিরোধ করলে নজির উদ্দিনকে শৌচাগারের ভিতরে হাত-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং তাঁর স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে তার নিজের বেডরুমের মেঝেতে ফেলে তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে । এসময় নজরুদ্দিনের নোকিয়া মোবাইল ফোন ও অফিসিয়াল ব্যাগ এবং ফরিদা বেগমের হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে গেটে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নিহত নজির উদ্দিন এর একমাত্র কন্যা শীলা খাতুন আলমডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা রুজু করে।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে, চুয়াডাঙ্গা’র নেতৃত্বে জনাব আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল), চুয়াডাঙ্গা, জনাব মোঃ আলমগীর কবীর, অফিসার ইনচার্জ, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ও থানা পুলিশের একাধিক টিম, ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং একাধিক টিমের নিরলস প্রচেষ্টায় হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিরদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এবং তাদের নিকট হতে রক্তমাখা জামা,মোবাইল ফোন, নগত টাকা সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা
Copyright © 2023 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics